ট্রাম্পের বক্তব্য ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
অভিষেক বক্তৃতায় ‘কট্টরপন্থী ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’ বিশ্বের মাটি থেকে
পুরোপুরি নির্মূলে ‘সভ্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ’ করার ডোনাল্ড ট্রাম্পের
অঙ্গীকারকে তার চরম ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের প্রকাশ মনে করে ক্ষোভে ফেটে
পড়ছে আরব বিশ্বের জনগণ। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজার হাজার
মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেইে এটিকে আসলে ইসলামের বিরুদ্ধেই
সুস্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মনে করেছেন।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর অভিষেক অনুষ্ঠানে দেয়া ট্রাম্পের বক্তৃতার পরই টুইটারে প্রায় এক লাখ আরব ‘ট্রাম্পইনোগুরেশন’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ বক্তৃতার প্রতিবাদ জানান। সৌদি আরব, জর্ডান, মিসরসহ প্রায় সব আরব দেশের টুইটার ব্যবহারকারীরা এতে অংশ নেন এ প্রতিবাদে। অনেকেই প্রতিবাদ করে বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এককভাবে সহিংস উগ্রবাদের সাথে ইসলামকে মিলিয়ে চরম বিদ্বেষের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি অন্যান্য উগ্রপন্থা নিয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। এমনকি তার নিজ সমর্থকদের মধ্যেও রয়েছে অনেক উগ্রবাদী। সৌদি আরবের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমেরিকান নীতির কারণেই সন্ত্রাস জন্ম নিয়েছে সে কথা স্বীকার না করেই ট্রাম্প তার পূর্বসূরিদের মতোই ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিত্রিত করে বেহাইয়া ও বর্ণবাদী মানসিকতার পরিচর দিয়েছেন’। অনেকেই বলছেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য বিশ্বের সমগ্র মুসলমানদের জন্য অপমানকর এবং ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে নতুন ক্রসেড শুরুর ঘোষণা’।
নির্বচনী প্রচারণার শুরু থেকেই একের পর এক ইসলামবিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়ে ট্রাম্প আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রাদয়ের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান এবং পরে মার্কিন মুসলমানদের নজরদারির জন্য বিশেষ ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান। অনেকেই টুইটারে সব মুসলিমকে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি তা মোকাবেলায় ঐক্য ও আল্লাহর নির্ভর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য আরবদের অনেকে বিষয়টিকে ভিন্ন চোখেও দেখছেন। ট্রাম্পের ভয়ানক বর্ণবাদকে একটি সুযোগ মনে করা এ লোকদের দৃষ্টিতে ‘ট্রাম্প একটি আমেরিকান বিস্ময়, যা ওবামার মুনাফেকির চেয়ে ভালো’। তারা আমেরিকাকে ভালোভাবে তুলে ধরা ও সত্য বলার জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। কুয়েতের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ট্রাম্প মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করবেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণাই তাদের সবচেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ করবে’। ওবামা মুসলমনাদের কোনো ক্ষতি করতেই আর বাদ রাখেননি এমন আভাস দিয়ে আরেকজন তার টুইটার বার্তায় প্রশ্ন করেছেন, ‘ওবামা হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছেন, উদ্বাস্তু করেছেন এবং দেশ ধ্বংস করেছেন। তাহলে কেন তার বিদায় সবাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে এবং ভাবছে ট্রাম্প বিশ্বকে ধ্বংস করবে?
‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত হও’
ডন জানায়, ক্ষমতা গ্রহণের পর দিনই ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগের দিন অভিষেক বক্তৃতায় তিনি বিশ্ব থেকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শনিবার ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সদর দফতর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, বিশ্ব থেকে ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে। এটি অশুভ শক্তি, অশুভ শক্তি’।
নির্বাচনের আগের দীর্ঘ প্রচারণার সময়কালে ট্রাম্প ‘ইসলামিক কট্টর সন্ত্রাসবাদ’ উপমাটি ব্যবহার না করার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করেন। ট্রাম্প বলতেন, শত্রুকে প্রকাশ্যে চিহ্নিত করতে না পারলে তাকে পরাজিত করা যাবে না। আর শনিবার সিআইএ সদর দফতরে দেয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প আরো একধাপ অগ্রসর হয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও মার্কিন জাতিকে ‘মৌলবাদী ইসলামের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেন। ট্রাম্প বলেন, ছোট বেলায় শুনেছি যুক্তরাষ্ট্র কখনো কোনো যুদ্ধে পরাজিত হয়নি। কিন্তু এখন আমরা কোনো কিছুতেই বিজয়ী হতে পারছি না। বিদেশের মাটিতে আমেরিকার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আফগান যুদ্ধের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অনেক দিন ধরে চলেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তার পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করেনি। আমাদের যা শক্তি আছে তা আমরা ব্যবহার করিনি। আমার সংযত ছিলাম’।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর অভিষেক অনুষ্ঠানে দেয়া ট্রাম্পের বক্তৃতার পরই টুইটারে প্রায় এক লাখ আরব ‘ট্রাম্পইনোগুরেশন’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ বক্তৃতার প্রতিবাদ জানান। সৌদি আরব, জর্ডান, মিসরসহ প্রায় সব আরব দেশের টুইটার ব্যবহারকারীরা এতে অংশ নেন এ প্রতিবাদে। অনেকেই প্রতিবাদ করে বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এককভাবে সহিংস উগ্রবাদের সাথে ইসলামকে মিলিয়ে চরম বিদ্বেষের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি অন্যান্য উগ্রপন্থা নিয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। এমনকি তার নিজ সমর্থকদের মধ্যেও রয়েছে অনেক উগ্রবাদী। সৌদি আরবের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমেরিকান নীতির কারণেই সন্ত্রাস জন্ম নিয়েছে সে কথা স্বীকার না করেই ট্রাম্প তার পূর্বসূরিদের মতোই ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিত্রিত করে বেহাইয়া ও বর্ণবাদী মানসিকতার পরিচর দিয়েছেন’। অনেকেই বলছেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য বিশ্বের সমগ্র মুসলমানদের জন্য অপমানকর এবং ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে নতুন ক্রসেড শুরুর ঘোষণা’।
নির্বচনী প্রচারণার শুরু থেকেই একের পর এক ইসলামবিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়ে ট্রাম্প আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রাদয়ের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান এবং পরে মার্কিন মুসলমানদের নজরদারির জন্য বিশেষ ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান। অনেকেই টুইটারে সব মুসলিমকে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার পাশাপাশি তা মোকাবেলায় ঐক্য ও আল্লাহর নির্ভর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য আরবদের অনেকে বিষয়টিকে ভিন্ন চোখেও দেখছেন। ট্রাম্পের ভয়ানক বর্ণবাদকে একটি সুযোগ মনে করা এ লোকদের দৃষ্টিতে ‘ট্রাম্প একটি আমেরিকান বিস্ময়, যা ওবামার মুনাফেকির চেয়ে ভালো’। তারা আমেরিকাকে ভালোভাবে তুলে ধরা ও সত্য বলার জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। কুয়েতের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ট্রাম্প মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করবেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণাই তাদের সবচেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ করবে’। ওবামা মুসলমনাদের কোনো ক্ষতি করতেই আর বাদ রাখেননি এমন আভাস দিয়ে আরেকজন তার টুইটার বার্তায় প্রশ্ন করেছেন, ‘ওবামা হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছেন, উদ্বাস্তু করেছেন এবং দেশ ধ্বংস করেছেন। তাহলে কেন তার বিদায় সবাই ক্ষুব্ধ হচ্ছে এবং ভাবছে ট্রাম্প বিশ্বকে ধ্বংস করবে?
‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত হও’
ডন জানায়, ক্ষমতা গ্রহণের পর দিনই ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগের দিন অভিষেক বক্তৃতায় তিনি বিশ্ব থেকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শনিবার ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সদর দফতর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, বিশ্ব থেকে ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে হবে। এটি অশুভ শক্তি, অশুভ শক্তি’।
নির্বাচনের আগের দীর্ঘ প্রচারণার সময়কালে ট্রাম্প ‘ইসলামিক কট্টর সন্ত্রাসবাদ’ উপমাটি ব্যবহার না করার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করেন। ট্রাম্প বলতেন, শত্রুকে প্রকাশ্যে চিহ্নিত করতে না পারলে তাকে পরাজিত করা যাবে না। আর শনিবার সিআইএ সদর দফতরে দেয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প আরো একধাপ অগ্রসর হয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও মার্কিন জাতিকে ‘মৌলবাদী ইসলামের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেন। ট্রাম্প বলেন, ছোট বেলায় শুনেছি যুক্তরাষ্ট্র কখনো কোনো যুদ্ধে পরাজিত হয়নি। কিন্তু এখন আমরা কোনো কিছুতেই বিজয়ী হতে পারছি না। বিদেশের মাটিতে আমেরিকার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আফগান যুদ্ধের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অনেক দিন ধরে চলেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তার পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করেনি। আমাদের যা শক্তি আছে তা আমরা ব্যবহার করিনি। আমার সংযত ছিলাম’।
No comments:
Post a Comment