ইসলাম ও গণতন্ত্র
ইসলাম ও গণতন্ত্র – কিছু মৌলিক পার্থক্য ?
অনেকেই বলে ইসলাম গনতন্ত্রকে সমর্থন করে ।========================
তাহলে আসুন আল কুরআন এর দৃষ্টিতে গণতন্ত্র সম্পর্কে জেনে নেই...
# আল-কুরআনঃ "যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য " [২:১৬৫]
গনতন্ত্রঃ জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস ।
# আল-কুরআনঃ "আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। " [১২:৪০]
গনতন্ত্রঃ আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জনগন, সংসদ, মন্ত্রী-এমপির (মদ, পতিতালয় বৈধও হতে পারে) ।
#আল-কুরআনঃ আল্লাহ তাআলা সার্বভৌমত্বের মালিক। [৩:২৬]
গনতন্ত্রঃ সার্বভৌমত্বের মালিক জনগন।
# আল-কুরআনঃ "(হে নবী) আপনি যদি অধিকাংশের রায়কে মেনে নেন তাহলে তারা দ্বীন থেকে বিচ্যুত করে ছাড়বে" [৬:১১৬]
গনতন্ত্রঃ অধিকাংশের রায়ই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
# আল-কুরআনঃ "আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। " [২:২৭৫]
গনতন্ত্রঃ গণতন্ত্র সূদভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করে।
# আল-কুরআনঃ ব্যভিচার শাস্তিযোগ্যঅপরাধ। [২৪:২]
গনতন্ত্রঃ সংসদ পতিতালয়ের (যিনা) লাইসেন্স দেয়।
# আল-কুরআনঃ সৎকর্ম ও খোদা ভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। (৫:২)
গনতন্ত্রঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থী নিজের সুনাম ও প্রতিদ্বন্দ্বীর কুৎসা রটায়।
# আল-কুরআনঃ মদ, জুয়া, লটারী নিষিদ্ধ। [৫:৯০]
গনতন্ত্রঃ মদ এর লাইসেন্স দেয়। জুয়া, লটারী বৈধ।
# আল-কুরআনঃ "হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। " [৫:৫১]
গনতন্ত্রঃ কোন সমস্যা নাই। যার সাথে ইচ্ছা (আমেরিকা, ইসরাইল) বন্ধুত্ব কর।
এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের হাতে গনতন্ত্র গ্রহন করবেন নাকি ইসলাম ... Allah knows the best
ইসলাম কখনো অন্ধ আনুগত্য সমর্থন করে না। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াতের দাবি করার পাশাপাশি দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। প্রশ্নবাণে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জর্জরিত করে ঈমান আনার ঘোষনা দিয়েছেন হযরত যিমাম ইবনে ছা’লাবা (বুখারী)
পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না
''...............এবং শিঘ্রই আসিবে নবুয়তের আদলে #খিলাফত।'' ( মুসনাদে ইমাম আহমদ)
# ইসলামিক গণতন্ত্র!ইসলামিক মদের বোতল!!
------------------------------
কেউ যদি মদের বোতল খুলে তিনবার সুরা ফাতিহা আর দুইবার সুরা ইখলাস পরে ফু দেয় আর বোতলের ওপর আল্লাহ্র নাম লিখে রাখে, বিসমিল্লাহ লিখে রাখে তাহলে কি সেটা ইসলামিক মদের বোতল হবে?
আর যদিও হয় তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?
ঠিক তেমনিভাবে, গণতন্ত্রের সাথে ইসলামকে দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে মিলিয়ে আয়াতের অপব্যাখ্যা করে ইসলামিক ভাবে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতি করলেই সেটা ইসলামিক গনতন্ত্র হবে??
বিসমিল্লাহ বলে শুয়োর জবাই দিলেও সেটা ইসলামিক শুয়োর হয়ে যায়না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এমন পতিতার সাথে সঙ্গম করলেই সেটা ইসলামিক বেশ্যাবৃত্তি হয়না।
নামটা শুনলেই কেমন জানি হাঁসি পায়, ইসলামিক গণতন্ত্র! গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া মানে হলো পেশাব দিয়ে অজু করতে চাওয়া। কারন সেটা জায়েজ নাই সেটাকে জায়েজ মনে করাটা হারাম। আর হারাম পালন করা হলো কুফরি...
গণতন্ত্র নামক কুফরির স্রস্টা হলেন আব্রাহাম লিঙ্কন। এই গণতন্ত্র দিয়ে একদল ক্ষমতালোভীরা গণতন্ত্রের সাথে ইসলামকে মিশিয়ে ভালো করে বোতল ঝাকিয়ে তৈরি করেছে ইসলামিক গণতন্ত্র। শখ করে আবার নিজেদের ইসামিক দল নামে আখ্যায়িত দিয়েছে, হরতাল মিছিল মিটিংকে এযুগের জ্বিহাদ বলে অভিহিত করেছে। গাড়ি ভাঙ্গার জ্বিহাদ, টায়ার পোড়ানোর জ্বিহাদ আর গণতন্ত্রের জন্য জ্বিহাদ করা মানে হলো তাগুদ ও শয়তানের রাস্তায় জিয়াদ করা। কারন অয়া কতিলু ফি সাবিলিল্লাহ এই বাক্য থেকে কতিলু শব্দের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে ফি সাবিলিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায়। আর আল্লাহ্র রাস্তায় জ্বিহাদ করতে হলে আল্লাহ্র দেখানো পথেই কাজ করতে হবে। রাসুল সাঃ এর তরিকা অনুসারে কাজ করতে হবে।
আব্রাহামের গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েম করা অসম্ভব। একমাত্র জ্বিহাদ ফিসাবিলিল্লাহই পারে খিলাফত ফিরিয়ে আনতে। ইসলামিক গণতন্ত্র নাম দিয়ে হারামকে গ্রহন করা যেমন কুফরি, ঠিক তেমনি কুফরি হলো সত্য কথা নির্ভয়ে না বলাটা।
আমাদের ফেসবুকের তথাকথিত সেলিব্রেটিগন নির্ভয়ে সত্যটা বলেনা লাইক কমে যাওয়ার ভয়ে। কিন্তু যারা প্রকৃত মুসলিম, যাদের অন্তরে আল্লাহ্র জন্য ভয় রয়েছে তারা জানে চুপ করে থাকার সময় এখন আর নেই।
#
অনেক ভ্রাতার বলে থাকেন বর্তমান যুগে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় । কারন হিসেবে তারা বলে থাকেন বর্তমানে মুসলীমদেরা ততটা শক্তিশালী নয় । বর্তমানে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে হলে নাকি বোমা বাজি করতে হবে ।
তাদেরকে বলি মহানবী (স) যখন প্রথম ইসলামের দাওয়াত দিলেন তখনকি তিনি একা ছিলেন না ? তখনি বর্তমানের থেকে মুসলীমের সংখ্যা কম ছিলনা ? আর জিহাদ নিয়ে যাদের চুলকানী তাদের বলি মহানবী (স) কি জিহাদ করেন নি ? তিনি কি জিহাদের মাধ্যমে ইসলামী রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন না গনতান্ত্রীক ??? !
#
ইসলাম কেন গনতন্ত্রবিরোধী?
----[ব্যাথিত হৃদয়ের আরজি!! দয়া করে পুরো লেখটি পড়বেন ও শেয়ার করবেন]
আচ্ছালামু আলাইকুম, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনাদের সবাইকে ভালো রেখেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সামন্জস্যপূর্ণ হওয়াতে এই লেখাটি অতীব জরুরী মনে করলাম। দয়া করে সকলেই পুরোটা পড়বেন।
আমরা কমবেশী সবাই জানি যে ইসলাম গনতন্ত্র সমর্থন করেনা। অনেকে আবার রেফারেন্স দিতে পারেন না, তাদের জন্য সাহায্যকারী হবে এই নোটটি আশা করি। প্রথমেই আমরা গনতন্ত্র সম্পর্কে জানবো।
*গনতন্ত্র কী?
যে পদ্ধতিতে সকলের মত সাপেক্ষে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকেই গনতন্ত্র বলে।
*গনতন্ত্রের মুলনীতি কি?
গনতন্ত্রের মুলনীতি হলো জনগনই সকল ক্ষমতার উত্স। অর্থাত্ কাওকে উপযুক্ত চয়নের একমাত্র ক্ষমতা জনগনের।
*গনতন্ত্রের কার্যক্রম কী?
গনতান্ত্রিক ভোটদান পদ্ধতিতে উপস্থিত প্রাপ্তবয়স্ক যোগ্য (Qualified) সকলেই তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রদান করে এবং সংখ্যাগুরুতার ভিত্তিতে নিবার্চন (Selection) করা হয়।
এবার আসুন দেখি ইসলামিক যুক্তি এ সম্পর্কে কি বলে?
১। গনতন্ত্রে প্রাপ্তবয়স্ক সবার স্বাধীন মতামতের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানেই বুদ্ধিমান কিংবা জ্ঞ্যানী নয়। এ কারনে নির্বাচনে জ্ঞ্যানী এবং নির্বোধ সকলেই অংশ নেয়। অথচ বিশ্বে জ্ঞ্যানীর চেয়ে নির্বোধের পরিমান অত্যাধিক বেশী। আর যেহেতু সংখ্যাগুরুতার ওপর ভিত্তি করে নিবার্চন হয়ে তাই কোন সমাজে নির্বোধ বেশী থাকায় তারা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে এবং ভুল ব্যক্তিকে চয়ন করে বসে।
রেফারেন্সঃ "যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দিবে।"
(সূরা আন’আম-১১৬)
তাই গনতন্ত্র নিঃসন্দেহে একটি ভুল সমাজ ব্যবস্থা।
২। গনতন্ত্রের মুলনীতি হলো জনগনই সকল ক্ষমতার মুল উত্স।
কিন্তু আল্লাহ বলছেন সকল ক্ষমতার মুল উত্স ও অধিকারী একমাত্র তিনি।
রেফারেন্স:
"কর্তৃত্বতো কেবল আল্লাহরই।"
(সূরা আন আনাম-৫)
"তুমি বলো, হে সর্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর এবং যার নিকট থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর। যাকে ইচ্ছে পদদলিত কর। সব
কিছুই তোমার হাতে। নিশ্চয় তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান।"
(সুরা আল ইমরান-২৬)
তাই গনতন্ত্র একটি ভুল ও শিরকি সমাজ ব্যবস্থা।
৩। গনতন্ত্রে প্রতিটি রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থায় নিজস্ব সংবিধান তৈরী করা বাধ্যতামুলক।
কিন্তু ইসলামে আল্লাহর বিধান পরিবর্তন করাটা একেবারেই হারাম হারাম এবং হারাম।
রেফারেন্সঃ
"আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল কাফের।"
{সূরা মায়িদা-৪৪}
"আল্লাহ যা অবতীর্ণ
করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল জালেম।"
{সূরা মায়িদা-৪৫}
তাই গনতন্ত্র একটি বিদাআতি সমাজ ব্যবস্থা।
৪। গনতন্ত্র হলো জুয়া কেননা এটি অনিশ্চিত ব্যবস্থা এবং কে জয়ী হবে এবং পরাজয় হবে তা কেউ জানেনা। এটি ভাগ্যের ব্যাপার তাই গনতন্ত্র হলো ভাগ্যপরীক্ষার মতোই।
আর জুয়া কিংবা ভাগ্যপরীক্ষা ইসলামে হারাম।
রেফারেন্স:
"হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈধ নয়। অতএব,
এগুলো থেকে বেঁচে থাকো যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।"
(সুরা মায়িদাহ-৯০)
"তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তবে বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পারো।
(সুরা আল বাকারা-২২৯)
তাই গনতন্ত্র হারাম এবং সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী।
প্রমানিত করা হলো যে ইসলাম গনতন্ত্রবিরোধী। এবার গনতন্ত্র কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিবো।
* রাসুলে পাক সাঃ খলিফা নির্বাচনে কোন পথ অবলম্বন করতেন?
উত্তর: রাসুলে কারীম সাঃ খলিফা নির্বাচনে জ্ঞ্যানী ও বুদ্ধিমান সাহাবীদের চয়ন করতেন এবং তাঁদের সমন্বয়ে কয়েক সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল তৈরী করেছিলেন যারা সবকিছু বিচার বিশ্লেষন করে খলিফা নির্বাচন করতেন। যেহেতু সেখানে বুদ্ধিমান লোকদের দ্বারা সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হতো তাই নিবার্চন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতো।
* ইসলামে কোন তন্ত্রে বিশ্বাসী?
উত্তর: যে তন্ত্রে শিরকি কিংবা কারচুপি নেই সে তন্ত্র। আর একমাত্র খিলাফতই সঠিক ব্যবস্থা কেননা এতে সংখ্যাগুরু নির্বোধদের প্রয়োজন হয়না, জনগন ক্ষমতার উত্স হয়না, এতে কোন শিরকের সুযোগ নেই এবং এটি জুয়া বা অনিশ্চিত না। বাদশাহ বা খলিফা যদি অত্যাচারি হয়ে থাকে তবে প্রজাদের প্রতিবাদ করাও ফরজ আঈন।
* খিলাফত কি কি?
উত্তর: রাজতন্ত্র খিলাফতের একটি রুপ যেখানে খলিফারুপে বাদশাহ থাকবে। অর্থাত্ এক নায়কতন্ত্র... তবে অবশ্যই সত্ ও যোগ্য প্রার্থী নিবার্চনে সমাজের বুদ্ধিমান ব্যক্তিদেরই থাকতে হবে।
তাই গনতন্ত্র কখনই ইসলাম সমর্থিত নয়, আর গনতন্ত্রের পক্ষ নিয়ে এখানে বিতর্ক করতে এলে কুরআনের আয়াত অস্বীকার করতে হবে, যা একজন মুসলিম কখনই করবেনা। আশা করি সকলেই বুঝতে পেরেছেন, আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন আমিন।
#
মাওলানা আব্দুর রহীম (রঃ) সাহেব তার “গণতন্ত্র নয় পুরাঙ্গ বিপ্লব” বইয়ে লিখছেন,
১। যারা গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েম করতে চায় তারা ইসলামও বুঝেনা, গণতন্ত্রও বুঝেনা।
২। যারা গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েম করার কথা বলে নিজেদের কাজকে “জিহাদ ফী সাবিল্লাহ” বলে চালানোর চেষ্টা করছে তারা প্রকৃত পক্ষে তাগুতের পথে জিহাদ করছে।
আবারও বলছি এগুলো আমার কথা না, আব্দুর রহীম সাহেবের কথা। বিশ্বাস না হলে “গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব” বইটা পড়ে দেখুন
মাওলানা আব্দুর রহীম। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসালামীর প্রতিষ্ঠাতা আমীর। বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ, বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ। ইসলামের উপর অসংখ্য মহা মূল্যবান বই লিখেছেন। তবে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন তার শেষ জীবনে লিখা অসাধারণ কয়েকটি বইয়ের জন্যে। বইগুলো লিখছিলেন গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ ইত্যাদির বিরোধিতা করে এবং সত্যিকার নির্ভেজাল (গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদবিহীন) ইসলামী বিপ্লব, ইসলামী রাষ্ট্র তথা খিলাফাহ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষ নিয়ে। বইগুলো ৮০র দশকে লেখা হলেও এখনো সময়োপযোগী। আপনারা বইগুলো পড়ে দেখেন। ইনশা আল্লাহ্ প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন। বইগুলোর লিঙ্কঃ
১। গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব-http://www.mediafire.com/
২। প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য-http://www.mediafire.com/
৩। বাংলাদেশের মুসলমানরা মজলুম ও মাহরুম- http://www.mediafire.com/
৪। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও শুরায়ী নিজাম-http://www.mediafire.com/
৫। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য-http://www.mediafire.com/
বিঃ দ্রঃ-জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির তাঁদের সিলিবাসে মাওলানা আব্দুর রহীমের প্রায় সব বই পড়ায় কিন্তু এই পাঁচটা বই এখন আর তাঁদের সিলিবাসে পড়ানো হয় না। বইগুলো এখন সহজে বাজারেও পাওয়া যায় না। বইগুলোর কথাবার্তা বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী হওয়ায় সম্ভবত এখন আর ছাপানো হয় না। আল্লাহু আ’লাম।
জামায়াত শিবির ভাইদের বলবো উন্মুক্ত মন নিয়ে বইগুলো পড়তে বসুন। তাহলে বুঝতে পারবেন এতদিন কি ভুলের মাঝে আছেন আর আপনাদের নেতারা আপনাদেরকে কি সত্য থেকে বঞ্চিত করছে।
# ''ভিক্ষা চাই না ওহে দেশমাতা, সামলাও তব #গণতান্ত্রিক #কুত্তা''
------------------------------
খুব পরিচিত একটি উক্তি, ''যদি কাহারো আঙ্গুল কাটিবার দুঃখ ভুলাইয়া দিতে চাও, তবে তাহার মস্তক ফাটাইয়া দাও।'' গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এই উক্তিটির বাস্তব প্রয়োগ বহুবার দেখা যায়। রাষ্ট্রীয় সম্পদের একমাত্র মালিক রাষ্ট্রের জনগণ এবং শাসক হইল ঐ সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক, ইহাই সকল শাসনব্যবস্থার সারকথা হইলেও গনতন্ত্রে কিছু অন্যরকম দেখা যায়। এইখানে শাসকগন রাষ্ট্রের মালিক বনিয়া যায় আর জনগণকে তাহাদের আশ্রিত হিসাবেই দেখে।
কিছু সময় পরপর ভোট দান করার সময়ে কিছু অধিকারের নমুনা দেখা গেলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জনগণের ভোট শাসক নির্বাচনে মুখ্য ভুমিকা রাখেনা। পরাশক্তি নামক সাম্রাজ্যবাদী প্রভুগণের হস্তেই যে শাসক নিয়োগের চাবিকাঠি ইহা এখন অনেকটা স্পষ্ট প্রতিভাত হইতেছে। এমনকি যদি ভোট সুষ্ঠুও হয় তবু ইহা মূলত আগামী ৫ বছর কে জনগণের সম্পদ নিজের মনে করিয়া ভোগ করিবে এবং বিনিময়ে জনগণকে কিছু অংশ ভিক্ষা স্বরূপ প্রদান করিবে তাহা নির্বাচন করা হয়। এইখানেও মজার কাহিনী হইল জনগণের সম্পদ পরাশক্তিসমূহের নিকট বিকাইয়া দিয়া কোন সরকার কত পরিমাণ অর্থ তাহাদের নিকট হইতে ভিক্ষা আনিয়াছে ইহার উপর তাহাদের সাফল্য নির্ণয় করা হয়। অনেকটা এইরকম যে তোমার জমির ধান আমি কাটিয়া দিব। বিনিময়ে তোমাকে শতকরা ৫ভাগ দিব আর বাকিটা কাস্তে ভাড়া হিসাবে লইয়া যাইব এবং ওইখান হইতে কিছু তোমার নিকট আমার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রয় করিব, অতঃপর দয়া পরবশ হইয়া কিঞ্চিৎ ভিক্ষা দিব। আবার ঐ ভিক্ষার অর্থের সিংহভাগ দিয়া রাষ্ট্রের মূল শক্তিসমুহের ধারকদিগকে কিনিয়া রাখা হয়, যাহাতে পরাশক্তিসমূহের বিরুদ্ধে কেহ আঙ্গুল তুলিতে না পারে। সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের জেনারেল সিসি কিংবা এইদেশে জেনারেল মইনসহ আরও অনেকের কথা বলা যায়। যাহারাই এই ভিক্ষা নিয়া দালালী করিতে অস্বীকার করিবে, তাহাদিগকে পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার আলী খানের মত জেল জুলুমের শিকার হইতে হইবে। এইভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসক/ শাসিত প্রত্যেকেই ভিক্ষাবৃত্তি চর্চা করিয়া থাকে।
গণতান্ত্রিক দলসমুহ ক্ষমতা গ্রহনের পূর্বে নানা উন্নয়ন করিবে এই শর্ত দিয়া ইশতেহার নামক কল্পকাহিনী ছাপিয়া থাকে। ক্ষমতায় আসিয়া প্রথম বক্তব্য দেয় এই যে, সবে তো আমাদিগের হানিমুন পিরিয়ড চলিতেছে তাই সময় দিন। তাহা ছাড়া গত সরকার দেশের উপর এমন অত্যাচার করিয়াছে যে ইহার শরীরের ঘা শুকাইতে কিছু সময় তো লাগিবেই। জনগণের অবস্থা তখন ঐ দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করা মহিলাটির মত যাহার পূর্বের স্বামী মাতাল হইয়া প্রহার করিত, তাই বর্তমান ধূর্ত স্বামীপ্রবরকে সমস্ত অলঙ্কার সঁপিয়া দেয় যেন কিছু একটা করিয়া অতঃপর সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে পারে। তাই তো মধুচন্দ্রিমায় গুনগুন গীত গাহিয়া স্বপ্নের নকশী কাঁথা বুনিয়া সময় কাটায়।
আহা!!!!!!! গরিবের সুন্দরী বউ থাকিলে যাহা হয় আরকি। এই স্বামীও যে তাহার বস/ প্রভুর মনোরঞ্জন করিবার শর্ত দিয়া বিবাহ করিয়াছে ইহা কি আর এই অসহায় জানে? তাই তো শর্ত মোতাবেক সকল দেশের রাণী, ভিনদেশী রাজার রংমহলে হাত বদল হইতে থাকে। জনগণের স্বপ্নের ঘোর কাটিতে থাকে।
ইহার ভিতর বহুদিনের উপবাসী থাকিবার পর ক্ষমতা পাইয়া দলীয় কুত্তাসমুহ খাবারের গন্ধে চিৎকার করিতে থাকে। তাই তাহাদের সন্তুষ্ট করিতে জনগণের জন্য রাখা ভিক্ষাটুকুও বিলাইয়া দিতে হয়। অসহায় জনগণ যখন একটুখানি ভিক্ষা পাইবার আশায় আবেদন করিতে যায় তখনই ঐ কুত্তাবাহিনী লেলাইয়া দিয়া তাহাদের দমন করা হয়।
এইবার আসি আমার প্রথম উক্তিটাতে। ঐ কুত্তা বাহিনীর আক্রমণে যখন আঙ্গুল কাটিয়া কিংবা দেহের অংশ আহত হয় তখন বিচার লইয়া আবার ঐ সরকারের নিকট যায়। সরকার এই বিষয় সামাল দিতে গিয়া এবং দলীয় সংহতি রক্ষা করিতে গিয়া নিজ উদ্যেগে আরেকটা অপকর্ম ঘটায়। এইভাবে পিলখানা ভুলে তাজরিনে, তাজরিন ভুলে ওভার ব্রিজে, শেয়ার মার্কেট ভুলাইয়া দেয় হলমার্ক। ইহা ছাড়া ছোট বড় মিলাইয়া বাকি গুলার কথা বলাই বাহুল্য। এই ফাঁকে প্রভুদিগের শর্ত মোতাবেক ট্রানজিট, টিকফা, রামপাল আগাইয়া যায় পূর্ণ গতিতে। ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দিয়া সরকারের পালিত শিল্পমনাগন জনগণকে ঐদিকে ব্যস্ত রাখিয়া দেয়। আবার প্রতিবাদ করিতে গেলে গনহত্যা চালায়। জনগণ কুত্তা সামলাইতে এমন ব্যস্ত হইয়া পরে যে শুধুমাত্র কুত্তা ঠেকাইবার শর্তে আবারও পূর্ব স্বামীর দ্বারস্থ হয়। এইভাবে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার পালাবদল হয়। আবার একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি ঘটে। চেহারা বদল হয় কিন্তু শয়তানী #গণতন্ত্র থাকিয়া যায়। ক্ষমতার রজ্জু শয়তানের হস্তে রহিয়া যায়।
এইবার আসি ক্ষমতা পরিবর্তন তথা জুলুমতন্ত্র পরিবর্তনের রাসুল(সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে। ইসলাম পূর্ব মক্কায় এইভাবে ক্ষমতা শয়তানী তন্ত্রের হস্তে ছিল আর শয়তানের পূজারীগণ বিভিন্ন সৌধ আর মিনারের চেতনার এর মত লাত, মানাত, উজ্জা আর হুবালের শপথ করিয়া তৎকালীন মক্কার পার্লামেন্ট দারুন নদওয়াতে আইন তৈরি করিত। আবার যেই কোন সমস্যায় পারস্য এবং রোম নামক পরাশক্তির দ্বারস্থ হইত। ঠিক ঐ অবস্থায় রাসুল(সাঃ) ঐ শাসকগোষ্ঠীকে কেবল একটা সমাধান দিয়াছেন, তাহা হইল শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করিয়া আল্লাহ প্রদত্ত আইনের বাস্তবায়ন। কোনরূপ চেহারা বদল নয়। এমনকি রাসুল(সাঃ) নিজেও ঐ ক্ষমতার শীর্ষ পদে যাইবার প্রস্তাব পাইয়াছিলেন। কিন্তু ব্যবস্থা পরিবর্তন ব্যতিত উনি ক্ষমতা নিতে রাজি হন নাই, এমনকি কৌশল হিসাবেও। উনার(সাঃ) উক্তি ছিল, ''আমার এক হস্তে চন্দ্র এবং অপর হস্তে সূর্য আনিয়া দিলেও আমি তোমাদিগের প্রস্তাব মানিব না। হয় আমার এই দ্বীন তোমাদিগের উপর বিজয়ী হইবে, অথবা আমি ধ্বংস হইয়া যাইব।'' অবশেষে সকল পরাশক্তির বিরুদ্ধে যাইয়া পরিপূর্ণ বিপ্লবের মাধ্যমে প্রথম ইসলামী #রাষ্ট্র মদিনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। অথচ আমরা বারবার সরকার নামক চেহারা বদল করিতেছি পরিবর্তনের আশায়। একই কর্ম বারবার করিয়া ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল আশা করিতেছি। কিন্তু আল্লাহর রাসুল(সাঃ) বলিয়া গেছেন, ''মুমিন কখনও একই গর্তে দুইবার পা দেয় না।''
তাই আমরা যতক্ষণ আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ ও তাঁহার রাসুলের(সাঃ) প্রদর্শিত পথে না আসিব, ততক্ষন কেবল কুত্তা সামলাইতে ব্যস্ত থাকিব। সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাহর আসন হইতে নামিয়া গোমরাহির অতলে হারাইয়া যাইব। আল্লাহ আমাদিগকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।
#ইসলামের দাওয়াতের সাথে সম্পৃক্ত যে কোন বইয়ে দাওয়াতের মৌলিক নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা থাকা উচিত। এগুলো নিম্নরূপ:
১. খিলাফতের জন্য কাজ করা এখন ফরযে আইন (প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয)। এর জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ ও কর্মতৎপরতা সৃষ্টি করা একান্ত কর্তব্য।
২. একাজটি দলগতভাবে হতে হবে এবং ব্যক্তিগতভাবে করবার কোন সুযোগ নেই।
৩. এই দলের একজন আমীর থাকবেন যিনি শরীয়া প্রদত্ত ক্ষমতায় বলীয়ান - যার আওতার মধ্যে তাকে মান্য করা হবে।
৪. এই দলে পুরুষ ও নারী উভয়ই থাকবে, কেননা দাওয়াত বহন করার ব্যাপারে উভয়ই দায়িত্বশীল।
৫. এই দলের সদস্যদের বন্ধনের ভিত্তি হবে ইসলামী আক্বীদা ও চিন্তা।
৬. দলটিকে তার কর্মকান্ডের জন্য অবশ্যই ইসলামী চিন্তা, নিয়ম কানুন ও মতামতকে গ্রহণ করবে এবং তাদের আনুগত্য থাকবে আদর্শের প্রতি, কোন ব্যক্তিবিশেষের প্রতি নয়।
৭. দলটি অবশ্যই রাজনৈতিক হবে, কারণ এর কাজ হল রাজনৈতিক - যা খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমতায় যাবে।
৮. দলটির কাজ হবে বুদ্ধিবৃত্তিক; সহিংস (Violent) কোন কর্মকান্ডের সাথে এর সম্পৃক্ততা থাকবে না। কারণ ইসলামের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনমত তৈরি করে জনগনের সহায়তায় ক্ষমতায় আসাই এ দলের কাজ।
৯. বর্তমান কুফর শাসনব্যবস্থার সাথে কোনরকম ক্ষমতার অংশীদার হওয়া এ দলের জন্য নিষিদ্ধ।
১০. বর্তমান কুফর শাসনব্যবস্থার উপর যে কোন ধরনের নির্ভরশীলতা এ দলের জন্য নিষিদ্ধ। কুফর ব্যবস্থা থেকে কোন ধরনের অর্থনৈতিক সাহায্য বা নির্ভরশীলতা অবশ্যই বর্জনীয়।
No comments:
Post a Comment