একটু ভেবে দেখুনতো সত্যিকার অর্থে আপনি আল্লাহ কে ভয় পান কিনা, তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন কিনা !!!
মনে করুন আপনি একজায়গায় চাকরির ইণ্টারভিউ দিতে গেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই আপনি খুব সুন্দর ভাবে সেজে, ভালপোষাক পরে, সুগন্ধী লাগিয়ে যাবেন। যারা আপনার ইন্টারভিউ নিবে তাদের সামনে স্বভাবতই আপনি নিজেকে ভদ্র,স্মার্ট,কাজের প্রতি মনোযোগী,সৎ, ওয়েল ম্যানার্ড হিসাবে তাদের কাছে তুলে ঘরতে চাইবেন। হটাৎ করে শরীরে কোথাও চুলকালে সেখানে চুলকানো শুরু করবেন না, হাচি,কাশি আসলে চেষ্টা করবেন সেটা যতক্ষন দমিয়ে রাখা যায়, কথা-বার্তা, ওঠা-বসায় অস্থিরতা-তাড়াহুড়া প্রকাশ করবেন না, আর ভেতরে আপনার ডাক না আসা পর্যন্ত বিরক্ত ও হবেন না, বা চলে ও আসবেন না, সবকিছু করবেন উদ্দেশ্য একটাই, যেন আপনার চাকুরী হয়, বা তারা আপনাকে আনস্মার্ট,আনকালচার্ড,অলস,অসৎ না ভাবে। কাদের সম্মানের জন্য এত কিছু করবেন??? যারা কিনা এই সল্প সময়ের দুনিয়ার হয়তো এক বা একাধিক কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক, যেটা তারা লাভ করেছে সমগ্র জগৎ এর মালিক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে!!!
আজ কাল অধিকাংশ মসজিদে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, তারা যখন সালতের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সামনে দাড়ায় তখন তাদের দুনিয়ার, চুলকানি-খাউজানি, হাচি-কাশি শুরু হয়, তেমন না চুলকালেও চুলকানো শুরু করে, একজন কাশি দিলে সারা মসজিদে মূহূর্তের মধ্যে যেন ভাইরাসের মত ছড়িয়ে যায়, অন্যরা ও কাশি দিয়ে দেখে তাদের গলা পরিস্কার আছে কিনা, যত অলসতা, তাড়াহুড়া সব যেন নামাজের মধ্যে সবথেকে প্রকট আকার ধারন করে। এতদ্রুত রুকু সিজদাহ করে যেন মনে হয় যত তাড়াতাড়ি নামাজ শেষ হবে, তত তাড়াতাড়ি জান্নাতে যবে। আর এই সব তারা করে, সমগ্র বিশ্বের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সামনে দাড়িয়ে।
এখন আপনারাই হিসাব করে দেখুন কার প্রতি আপনি বেশি সম্মান দেখাচ্ছেন??? আপনার সেই চাকরি দাতা না আল্লাহ কে !!! আল্লাহ কে কি সত্যি কার অর্থেই ভয় পান, না কোন দায় বদ্ধতার কারনে নামাজ পড়তে যা, নামাজ পড়া উচিৎ নিজের জন্য, আল্লাহ কে সন্তুষ্ট করার জন্য, আল্লাহর রহমত পাবার জন্য অন্য কোন কারনে নয়।
সাহাবীরা যখন নামাজে দাড়াতেন তখন তারা নামাজে এতটাই মনোযোগী থাকতেন যে, শত্রুর তীর এসে শরীরে বিধলেও তারা উঁফ শব্দটি পর্যন্ত করতেন না, তারা আল্লাহর ভয়ে এতটাই ভীত থাকতেন, এতটা বিনম্র থাকতেন তারা তাদের নামাজে, আর আল্লাহর কাছে যা চাওয়ার তা নামাজের মধ্যেই চাইতেন। কোন হিসাব, কারো কথা, কি করবে, কিভাবে করবে বা অন্যান্য দুনীয়াবী চিন্তা করতেন না।
প্রত্যেক নামাজ আমাদের এমন ভাবেই পড়া উচিৎ যেন সেটা আমাদের জীবনের শেষ নামাজ। কারন কেউ যানেনা তার মৃত্যু কখন কোথায় লেখা আছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান লাভ করার তৌফিক দান করুন।আমীন…
No comments:
Post a Comment